শেষ পর্যন্ত জয়ী হলো ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তাদের কোনো ষড়যন্ত্রের বাস্তব ভিত্তি খুঁজে পায়নি আইসিসি। বিশ্বকাপ ফাইনালের ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচকে গড়পড়তা রিপোর্ট দিয়েছে তারা। এমনকি সেমিফাইনালের বিতর্কিত ভেন্যু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচেও কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
আইসিসির পক্ষ থেকে দেয়া রিপোর্টের পর, পিচ নিয়ে ওঠা বিতর্কের অবসান হলো। ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপের ফাইনালে আহমেদাবাদে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে বাতাসে শোনা গিয়েছিল ষড়যন্ত্রের সুর। সেমির মতো ফাইনালের ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচও নিজেদের সুবিধামতো করে নিয়েছে বিসিসিআই। এমনটাই ধারণা ছিল সবার।
তবে, শেষ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের কোনো কূটচালের প্রমাণ পায়নি আইসিসি। উল্টো ওই ম্যাচের পিচকে অ্যাভারেজ বা গড়পড়তা মানের রেটিং দিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। সেই ম্যাচে রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ডি পাইক্রফট। তিনিই মাঠের আউটফিল্ড খুব ভালো বলে রিপোর্ট দিয়েছেন।
ফাইনালে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা ধীরগতির হয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত সেই পিচেই ভারতের তৃতীয় শিরোপার স্বপ্ন ভেঙ্গে হেক্সা মিশন পূরণ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ফাইনালের চেয়েও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে বেশি বিতর্ক হলেও সেটা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে আইসিসি।
শিরোপার মঞ্চ থেকে এক হাত দূরে মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল নতুন একটি পিচে। কিন্তু ম্যাচের দুদিন আগে নির্বাচন করা হয় পুরনো একটি পিচ। এমনকি যে কিউরেটর এ পিচ তৈরির দায়িত্বে ছিলেন তিনি নিজেও এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। পরে বিষয়টা জেনে তিনি অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন।
কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেদের পছন্দমতো পিচে ম্যাচ আয়োজন করে ফায়দা লুটে নেয় ভারত। তবে, ওয়াংখেড়ের সে পিচকেও ভালো রেটিং দিয়েছে আইসিসি। আরেক সেমিফাইনালে, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। লো স্কোরিং ওই ম্যাচের পিচকেও গড়পড়তা বলে রেটিং দিয়েছে আইসিসি।
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে রোহিত শর্মারা যে সব পিচে খেলেছিল, সেগুলোরও রিপোর্ট দিয়েছে আইসিসি। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ছাড়া লক্ষ্ণৌ, আহমেদাবাদ এবং চেন্নাইয়ের পিচ পেয়েছে এভারেজ তকমা। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই পিচগুলোতে খেলেছিল ভারত। তবে, মুম্বাইয়ের সেই আলোচিত পিচই নাকি সবচেয়ে ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেছে আইসিসি